হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৯৭ জনের খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ এই দুর্যোগে আরও পাঁচ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এখনো অসংখ্য মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে বাড়ি, গির্জা, হোটেলসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন পর্যন্ত সেখানে এক হাজার ২৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে, রবিবার (১৫ আগস্ট) দেশটিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছিল চারশ’র বেশি। আর শনিবার (১৪ আগস্ট) ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের পরপরই ৩০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
এ পরিস্থিতিতে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন।
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী হেনরি বলেন, ‘ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে বিভিন্ন প্রদেশে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) থেকে জানা যায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। জায়গাটি রাজধানী পোর্ট–অ–প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট–অ–প্রিন্স ও প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পে বহু হতাহত ও ব্যাপক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউএসজিএস।
১১ বছর আগে ২০১০ সালে ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে হাইতিতে প্রায় ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ মানুষ এতে আহত হয়। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।