fbpx

ভোলায় নদী ভাঙন রোধে ৫২২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভোলা জেলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণে ৫২২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে।

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন দৌলতখান পৌরসভা ও চৌকিঘাট এবং অনান্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা প্রকল্পের আওতায় এই দুই উপজেলার সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকায় কাজ হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এসব এলাকায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পদ স্থাযীভাবে রক্ষা পাবে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে।

সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে দৌলতখানে ৩ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার এবং বোরহানউদ্দিনে ১ দশমিক ৬৯ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ২২ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, এই প্রকল্পে নদী তীর রক্ষায় সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে।

প্রকল্পে মোট সিসি ব্লক ধরা হয়েছে প্রায় ২২ লাখ ও জিও ব্যাগ রয়েছে সাড়ে ১২ লাখ। ইতোমধ্যে ৪ লাখ ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে, যা স্থাপন চলছে। এছাড়া সোয়া ৫ লাখ জিও ব্যাগ মেঘনা তীরে স্থাপন হয়েছে।

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে মোট ২১টি প্যাকেজের মাধ্যমে এই উন্নয়ন কাজ চলছে। কাজের গুণগত মান শতভাগ বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দৌলতখান উপজেলার চৌকিঘাট ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন বাজারসহ বিস্তির্ণ এলাকা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য (ভোলা-২) আলী আজম মুকুল বলেন, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি পুরণ হয়েছে। উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের জমির দাম বৃদ্ধিসহ সার্বিক জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তাই স্থানীয়দের পক্ষে নদী তীর রক্ষায় প্রকল্প’র কাজ শুরু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এমপি মুকুল।

এদিকে প্রমত্তা মেঘনার ভাঙন বন্ধে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প চালু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। এতে করে আতংক কেটে গিয়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে ভাঙন কবলিত এলাকার হাজারো পরিবারের মাঝে।

দৌলতখান উপজেলার চৌকাট এলাকার মেঘনা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী গনি মিয়া ও তারেক হাওলাদার বলেন, মেঘনার করাল গ্রাসে এই এলাকার অনেকেই ভিটে মাটি হারিয়েছেন। কয়েক বছর আগেও এখান থেকে বহু পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এখন ব্লকের কাজ শুরু হওয়ায় মানুষ আর ঘর-বাড়ি সরাচ্ছেন না। এখানেই এখন নিত্য নতুন বাড়ি-ঘর তৈরি করছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply