মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সারাদেশে যেসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় এবং জরিমানা করা হয়, সেই জরিমানার টাকা সঠিকভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থভাণ্ডারে জমা হচ্ছে কি-না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি জানান, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় ৭৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালতের এসব অভিযান থেকে ১ কোটি ৮০ টাকা আদায় হয়েছিল। তবে এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়নি। ৫৪টি জাল চালান তৈরি করে এই টাকা আত্মসাৎ করেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসার ইমাম উদ্দিন।
আমিন উদ্দিন আরও বলেন, তদন্তে যখন বিষয়টা ধরা পড়ল এই টাকাটা জমা দেয়া হয়নি, কিছু টাকা পরবর্তীতে জমা দিয়েছে এবং স্বীকার করেছে এই টাকাটা সে আত্মসাৎ করেছে। তার সহযোগী ছিল তারই স্ত্রী বেঞ্চ সহকারী কমলা আক্তার। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর তাদের শাস্তি হয়। এই শাস্তির বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন।
আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ইমাম উদ্দিনের ২৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন। অপর আসামি কমলা আক্তারকে খালাস দেয়া হয় বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট বলেছেন, মোবাইল কোর্ট যে সারা দেশে পরিচালনা করা হয়, সেখানে যে অর্থ আদায় করা হয়, সেই টাকাটা সঠিকভাবে জমা হচ্ছে কি-না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
এছাড়া শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছেন আদালত।