fbpx

মজুত ডিজেল দিয়ে দেশের ৩২ দিনের চাহিদা পুরন সম্ভব: বিপিসি চেয়ারম্যান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, আজকে থেকে যদি আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে যে পরিমাণ ডিজেলের মজুত আছে, তাতে সারাদেশের ৩২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

‘একইসঙ্গে বর্তমানে পেট্রলের মজুত ১৫ দিনের, অকটেনের ৯ দিনের, ফার্নেস অয়েল ৩২ দিনের, জেট ফুয়েল ৪৪ দিনের মজুত আছে’, জানান তিনি।

বুধবার (২৭ জুলাই) বিপিসির ঢাকা লিয়াজো অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবিএম আজাদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এর মানে এই না যে, বিপিসি আমদানি কাল থেকে বন্ধ করে দেবে। আমদানি, মজুত ও সরবরাহ একটি চক্রাকার প্রক্রিয়া। আজকে যে অকটেনের মজুত ৯ দিনের, এক-দুই দিনের মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেনবাহী একটি জাহাজ আসবে যার পরে মজুতের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ দিনের। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

‘পেট্রলের শতভাগ দেশেই উৎপাদন হয়। এর সঙ্গে মজুতের কোনো সম্পর্ক নেই’, বলেন তিনি।

বর্তমান মজুতকে একদমই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো পেট্রলপাম্পকে তেল কম বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যারা নিজ উদ্যোগে এমনটা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনা তৈরি করা আছে। এই সাইকেলে কোনো সমস্যা নেই।’

বিপিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ডিজেল ৪ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন, অকটেন ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন, পেট্রল ২১ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল ৬২ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন এবং ফার্নেস অয়েল ৮৫ হাজার ৪১ মেট্রিক টন মজুত আছে।’

সারাদেশে প্রতিদিন ১৩-১৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেলের চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply