মলম ও অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাসহ ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।
৩রা মার্চ বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর পশ্চিম আব্দুল্লাহপুরের বেড়িবাঁধ রোড থেকে নেশা জাতীয় সামগ্রীসহ হাতেনাতে আটক করা হয় মলম পার্টির এই সদস্যদের।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল হক জানান, অজ্ঞান ও মলম পার্টির এই সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এই অপরাধের সাথে জড়িত। তারা কৌশলে বাসযাত্রীদের মধ্য থেকে টার্গেট করা ব্যক্তিকে চেতনা নাশক ওষুধ প্রয়োগ করে টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিতো।
বুধবার দুপুরে ঠিক একই উপায়ে আব্দুল্লাহপুরগামী পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তারা।বাসটি বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছালে সিআইডির হাতে ধরা পরে মলম পার্টির ৭ সদস্য। আটককৃত ছিনতাইকারীরা হলেন, স্বপন (৫২), ফিরোজ (৪০), মাসুদ রানা (৫১), শহীদুল ইসলাম (৫১), জাকির হোসেন (৫৫), শহীদুল ইসলাম (৩৩) ও হাবিবুর রহমান সিরাজ (৫০)।
ধরা পড়ার সময় তাদের কাছ থেকে চোখে লাগানো জন্য ক্ষতিকর মলম, নেশাজাতীয় হালুয়া, ধারালো কেঁচি ও ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
আসামিরা গ্রেপ্তারের পর ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবারের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির আরেকটি অভিযানে ধরা পরেছে সিএনজি চোরাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত দুই আসামি।
৪ঠা মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ধোলাই পাড়ে শাহ আলমের গ্যারেজ থেকে আটক করা হয় শাহ আলম (৪২) ও জামাল (৩৫) নামের দুজনকে।
অভিযান পরিচালনা করা সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, চুরি হওয়া সিএনজি অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন প্লেট এবং জাল কাগজ তৈরী করার মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিলো দীর্ঘদিন। আসামিদের আটক করার সময় তাদের গ্যারেজ থেকে ৫ টি সিএনজি অটোরিক্সা এবং জাল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।