fbpx

মসলা বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ভোক্তা অধিদপ্তর!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আগামীকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে মসলার বাজারগুলোতে কঠোর অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিদপ্তর। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মসলার মূল্য ও সরবারহ স্থিতিশীল রাখার লক্ষে কাজ করবে তারা।

রোববার ২৮ মে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মসলার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ ঘোষণা দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে এখন যে অবস্থা, তাতে অভিযানের বিকল্প নেই। সোমবার থেকে সারা দেশে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। আমরা এক সপ্তাহ দেখব। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য এবং আমাদের মনিটরিংয়ে প্রাপ্ত তথ্য সমন্বয় করে একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বন্দরে মসলা খালাসের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হলে ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানানো হলে তা সমাধানের জন্য আমরা সর্বাত্তক চেষ্টা করবো। আদার দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকায় ও চট্টগ্রামে আমাদের টিম মনিটরিং করছে। যেসকল পাইকারি প্রতিষ্ঠান ক্রয় রশিদ ছাড়া পণ্য বিক্রি করছে তাদের নামে অভিযোগ আসলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর শাহরিয়ার বলেন,  এবারের অভিযান হবে কঠোর ও ব্যতিক্রমী। কোনো দোকানে মূল্য তালিকা না থাকলে ওই দোকানকে জরিমানা ও কম করে হলেও একদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া দোকানগুলো ক্রয়মূল্যের রশিদ দেখাতে না পারলে কমপক্ষে তিনদিনের জন্য দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে।

অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে খাতুনগঞ্জের মসলার বাজার সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। সেখানে চায়না আদা মার্কেটে নেই বললেই চলে আর বার্মিজ ও ইন্ডিয়ান আদা ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বাজারে ২২০-২৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, শাহ আলী মার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাড়া-মহল্লার দোকানে মসলার বাজারে পর্যাপ্ত শৃঙ্খলা নেই যা সামগ্রিকভাবে মসলার বাজারে প্রভাব ফেলছে। তাদের মতে বন্দরে মসলা খালাসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় লাগে, যা মসলার মূল্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply