fbpx

‘মায়ের কপাল থেকে সিঁদুর মুছে গেছে সত্য, তবে হাসিটুকু যেন আমৃত্যু থেকে যায়’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের অন্যতম মেধাবী ও গুণি অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বর্তমানে ভারতীয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি নির্মিত সিনেমা ‘পদাতিক’ এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। শুটিংয়ের কারণে বর্তমানে তাকে ভারতে অবস্থান করতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতে থাকলেও অভিনেতার মন পড়ে আছে দেশে, পরিবারের কাছে। বিশেষ করে চঞ্চল যে তার মাকে মিস করছেন সেটা তার ফেসবুক পোস্ট থেকেই বোঝা যায়। এত ব্যস্ততার ভেতরও ঠিকই নিয়ম করে মায়ের সাথে কথা বলেন এই অভিনেতা।

কিছুদিন আগেই চঞ্চল চৌধুরীর বাবা মারা গেছেন। যত কাজের ব্যস্ততাই থাকুক, কাজের ফাঁকেও তিনি যে বাবাকে স্মরণ করছেন সেটাও স্পষ্ট পোস্ট থেকে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চঞ্চল নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক দিন পর, মায়ের মুখে এমন হাসি দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। বাবা চলে যাওয়ার পর আমরা সবাই যখন শোকে ভেঙে পড়ি, উল্টো আমাদের মা-ই আমাদের বুকের কাছে টেনে নিয়ে সান্তনা দেন। আমি সৃজিত মুখার্জী’র “পদাতিক” এর শুটিং এর কারণে মায়ের কাছে বেশীদিন থাকতেও পারিনি, কলকাতা চলে আসতে হয়েছে। মাঝে মাঝে ভিডিও কলে কথা বলি সবার সাথে, মায়ের সাথে, শক্তি আর সান্ত্বনা খুঁজে বেড়াই…কাজ করে চলি। এমনভাবে কাজের ভেতর ডুবে থাকি যে, মাঝে মধ্যে ঘোর কাটে না, মনে হয় দেশে ফিরলেই তো বাবাকে দেখতে পাবো। চোখের কোনায় জল জমে, আবার বাস্তবে ফিরে আসি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘মা খুব সুন্দর করে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে, মানে ফ্রেমিংটা খুব সুন্দর হয়। আর বাবা ছিল ঠিক বিপরীত, ফ্রেমিং খুব বাজে। ভিডিও কলে বাবার পুরো চেহারাটা কখনও দেখা হয়নি। কেমনভাবে যেন ফোনটা মুখের সামনে ধরতো, হয় শুধু কপাল, না হয় শুধু থুতনি দেখা যেত। প্রায়ই তার আঙুল লেগে ভিডিও অফ হয়ে যেত। অনেক রাগ করতাম বাবার ওপর, কেন ভিডিও কল করা ভালোমত শিখছে না। শেষের দিকে এসে বাবার শ্রবণ শক্তিও কমে গিয়েছিল। মুখস্ত কিছু কথা বলেই ফোনটা মাকে ধরিয়ে দিতো। বাবার এই টেকনিকটা আমরা ধরে ফেলেছিলাম। এ নিয়ে আমরা ভাইবোনেরা সবাই হাসাহাসিও করতাম। তবে সত্য এটাই, বাবার ঐ আংশিক থুতনি আর কপালও কোনদিন দেখা হবে না ভিডিও কলে। আমি কলকাতা, আর আমার মা ঢাকাতে আমার বাসায়। প্রতিদিনই ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন মাকে দেখতে আসে। আজ সন্ধ্যায় মাকে দেখতে এসেছে খুশী, বৃন্দাবনদা, দিব্য, সৌম্য। মা সবার সাথে গল্পগুজবে, আনন্দে মেতে উঠেছে। মায়েদের মুখের হাসি মনে হয় সকল সন্তানের অন্তরেই শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। মায়ের কপাল থেকে লাল টকটকে সিঁদুর মুছে গেছে সত্য, তবে হাসিটুকু যেন আমৃত্যু থেকে যায়।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply