চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার ১৫ ঘণ্টা পেরোলেও এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ডিপোর মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে ডিপোর ভেতরে কী ধরণের রাসায়নিক পদার্থ আছে, সেটি জানতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আর এ জন্যই তাদের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কনটেইনার ডিপোটির মালিকপক্ষের কাউকে এখনো পাওয়া যায়নি। এখানে কী ধরনের কেমিক্যাল আছে, তা বলা যাচ্ছে না। পানি দিয়ে সব কেমিক্যালের আগুন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে।
ডিপোতে বিস্ফোরনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৬ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, এটি জানতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান মাইন উদ্দিন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সেনাবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বি এম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে সেখানে যোগ দেয় আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়, তবে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে।