fbpx

মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন আদেশ বহাল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া নাশকতার মামলায় কারাবন্দি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এখন তাদের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) নাশকতার মামলায় ৬ মাসের জামিন পান বিএনপির এ দুই নেতা। এদিন দুপুরে বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।

পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান মনির বলেছিলেন, ফখরুল ও আব্বাসের জামিন বাতিল চেয়ে আপিল করা হবে।

গত ৪ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রবিবার এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে রবিবার পর্যন্ত মির্জা ফখরুল-আব্বাসের আইনজীবীরা তাদের মুক্তির জন্য বিচারিক আদালতে জামিননামা দাখিল করতে পারবেন না বলে আদেশে বলা হয়।

তার আগে এ মামলায় জামিন চেয়ে বিচারিক আদালতে চারবার আবেদন করেছিলেন বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা। চারবারই সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সবশেষ ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

গত ৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুরে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ওইদিন বিকালে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পল্টন থানার পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় আলাদা চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে বিএনপির ২ হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। তবে এতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম উল্লেখ ছিল না।

Advertisement
Share.

Leave A Reply