fbpx

মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলতি বছরের ডিসেম্বরে মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য নীতি সুদহার বা রেপো রেট একবারে দশমিক ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়াবে। নীতি সুদহার এখন ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ আছে। ফলে নতুন নীতি সুদহার বা রেপো রেট হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বুধবার (৪ অক্টোবর,২০২৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করে, তার সুদহার বাড়বে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে রাখা আমানত ও ব্যাংক ঋণের সুদহারও বাড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আরও সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল।

নীতি সুদহার বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার দশমিক ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ট্রেজারি বন্ড বিলের সুদ বাড়ায় স্মার্ট রেট বৃদ্ধি পাবে। আর ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় হিসাবে স্মার্ট সুদের হার নির্ধারণ করায় এখন থেকে আমানত ও ঋণের সুদহারও বাড়বে।
রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বর্তমানে সার্বিক মূল্যস্ফীতির ধারা সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং প্রত্যাশিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে আজ অনুষ্ঠিত মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) ৬০তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক (ক) বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদহার তথা ওভারনাইট রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৬.৫০ ভাগ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে শতকরা ৭.২৫ ভাগ; (খ) স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (ফ্লোর) সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৪.৫০ ভাগ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে শতকরা ৫.২৫ ভাগ; (গ) স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (সিলিং) সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৮.৫০ ভাগ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে শতকরা ৯.২৫ ভাগে পুনঃনির্ধারণ করা হলো। এই নীতিমালা ৫ অক্টোবত,২০২৩ থেকে কার্যকর হবে।

বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩  বাংলাদেশ ব্যাংকে নীতি পর্যালোচনা সভা হয়। সভায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব  নীতির আরও সংকোচনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি এই মুহূর্তে প্রবৃদ্ধির চেয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতা বড় বিষয় বলে উল্লেখ করেন। এসময় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিনিয়র সচিব এবং ডেপুটি গভর্নররা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মূল্যস্ফীতি চাপ, ডলারের দামের অস্থিতিশীলতা এবং লাগামহীন খেলাপি ঋণ এখন অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এমন পরিস্থিতিতে দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে সবার আগে মূল্যস্ফীতি কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তর মতে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারলে এমনিতেই ডলার বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব পরামর্শ দেন এ অর্থনীতিবিদ।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর,২০২৩ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৈঠকে নতুন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply