স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল ২ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে শুরু হবে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী চলবে এ পরীক্ষা।
পরীক্ষা নকলমুক্ত রাখতে কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবেন পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালতও।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। পাশাপাশি প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থাকবে থার্মাল স্ক্যানার, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিনসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
বুধবার (৩১ মার্চ) মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। সেখানে বেশ কিছু নির্দেশনা গ্রহণের কথা বলা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে-
১. মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ।
২. প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩. পরীক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়া অন্য কোনো কাগজ সঙ্গে নিতে পারবেন না।
৪. পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সব পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে।
৫. কেন্দ্র ইনচার্জ ব্যতীত কেউ মোবাইল কাছে রাখতে পারবেন না।
৬. তল্লাশি কাজে থাকবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।
৭. ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব ধরনের গুজব বা প্রপাগান্ডা ছড়ানো রুখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অ্যাপসভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ (হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ভাইভার, ইমু ইত্যাদি) যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করবে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ।
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। যাঁরা যোগ্য তাঁরাই এই পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবেন। করোনাভাইরাসের কারণে গণপরিবহনে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে সরকারি নির্দেশনা আছে। যার ফলে পরিবহন–সংকট দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় মেডিকেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দিতে হবে। যাতে পরীক্ষার্থীরা সকাল ৮টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে পারেন।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের যেসব সদস্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবেন, তাঁদেরও অবশ্যই মাস্ক পরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । চলতি বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। ফলে আসনপ্রতি লড়বেন ২৮ জন শিক্ষার্থী। এই পরীক্ষায় ঢাকা মহানগরের ১৫টি কেন্দ্রে ৪৭ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।