দেশের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট। প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের চার থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই পণ্যবাহী ট্রাক। আর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের বাড়তি যানবাহনের চাপ। ফলে বেশি কয়েকদিন ধরে এই নৌরুটে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে প্রায় চার কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা যায়। তবে এসময় যাত্রীবাহী যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
অগ্রাধিকারভিত্তিতে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে পারাপার করা হলেও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা। তাদের মধ্যে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভও লক্ষ করা যায়।
এই সকল ট্রাকগুলোকে ফেরি পার হতে কয়েকদিন সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে থাকতে তাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। টয়লেট, গোসল ও খাবার সমস্যার পাশাপাশি মূল্যবান জিনিসপত্র, টাকা-পয়সা ও মোবাইল চুরির শঙ্কা কেউই উড়িয়ে পারছে না। ফলে একরকম রাত জেগে থাকতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া হঠাৎ করেই ট্রাক ছাড়তে হয়, যে কারণেও ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না তারা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার চলমান রয়েছে। সড়কে কিছু ট্রাক সিরিয়ালে আছে, যার চাপও দ্রুত কমে যাবে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করছে। মূলত অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়ায় সিরিয়াল হচ্ছে।‘
