fbpx

রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের এএসআইসহ ৫ জন জড়িত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের বরখাস্ত এএসআই ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।

৬ মার্চ রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

এই মামলার আসামিরা হলেন, গোয়েন্দা পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এএসআই রাহেনুল ইসলাম, বাবুল, কালাম, এবং দুই নারি আসামি মেঘলা ও সুরভী আক্তার।

পুলিশ বলছে, ওই ছাত্রীও রাহেনুলের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া আসামি রাহেনুল রিমান্ডে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বস্তুগত তথ্য-প্রমাণ এবং ডিএনএ পরীক্ষা শেষে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

তবে মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামি রাহেনুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আসামি মেঘলার ভাড়া বাড়িতে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটিকে তার বাড়ির কাছে মোটরসাইকেলযোগে পৌঁছে দেন। রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা রাগারাগি করলে রাত ১০টায় মেঘলার সেই বাড়িতে ফিরে আসেন মেয়েটি।

এছাড়া মেঘলা তার বান্ধবী সুরভী আক্তারের সঙ্গে যোগসাজশ করে অপর দুই আসামি বাবুল ও কালাম পরদিন সকালে আবার ধর্ষণ করেন।

এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা ২৬ অক্টোবর হারাগাছ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআই এ হস্তান্তর করা হয়।
অভিযোগপত্রের চার আসামি দুই নারী, বাবুল ও কালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া এএসআই রাহেনুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাহেনুল, মেঘলা ও সুরভীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মানবপাচার এবং বাবুল এবং কালামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply