fbpx

রাজধানীতে কোনো অনুমোদনহীন ক্লিনিক চালু নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীতে এখন অনুমোদনহীন কোনো ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪৮৪টি। সরকার অনুমোদিত বেসরকারি ক্লিনিকের নাম ও ঠিকানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন’ শীর্ষক লিংকে দেওয়া আছে। এখানে সরকার অনুমোদিত বেসরকারি ক্লিনিকের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে।

জাহিদ মালেক জানান, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত পরিদর্শন টিম নিয়মিত পরিদর্শন করছে। এ সময় অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

এদিকে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে বয়স্ক ব্যক্তিদের চিকিৎসায় জেরিয়াটিক বিভাগ (বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসাসেবা বিভাগ) চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই বিভাগে শীঘ্রই ৬৫ বছর ও তার বেশি বয়সের রোগীদের আধুনিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে।

আরেক সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। উপজেলা হাসপাতালকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান আছে। ইতিমধ্যে ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয়তার আলোকে দেশের সব ৫০ শয্যায় উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যেখানে শিশুসহ সব বয়সী ক্যানসার রোগীদের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত পরিদর্শন টিম নিয়মিত পরিদর্শন করে থাকে। পরিদর্শনকালে কোনো ভুয়া চিকিৎসক পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জেল ও জরিমানা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, ভুয়া চিকিৎসকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইদানীং হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে মোবাইল টিমের ঘন ঘন পরিদর্শন ও তৎপরতার কারণে ভুয়া চিকিৎসকদের তৎপরতা কিছুটা কমে এসেছে বলেও সংসদে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply