fbpx

রাজ-মিমের অতিরিক্ত মাখামাখি আমার জীবন বিষিয়ে তুলছে: পরী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, জীবনানন্দ দাশের এই কবিতার লাইনের মতই প্রেম আসলেই একদিন মরে যায়। যে প্রেমে মানুষ সব ছেড়ে একজনের হাত ধরে, সেই হাত একটা সময় হয় পরিবর্তন, রাজ-পরীর ক্ষেত্রে আসলেই প্রেম মরে গেছে কিনা সে উত্তর এখনও ধোঁয়াশায় মোড়া।

শুরুটা হয়েছিলো দামাল সিনেমার প্রচারণা থেকে। একটি অনুষ্ঠানে রাজ মীমের হাত ধরে ছিলেন, তারপর দিনই পরীর  পোস্ট, ‘সিয়াম কে সিনেমার বাইরে কোনো নায়িকার হাত ধরে চটকা চটকি করতে দেখি নাই কোনদিন। তার এই ব্যাপারটা আমার হেব্বি লাগে।’ এই পোস্ট দেখে প্রথমে সবার টনক নড়ে, গণমাধ্যম তো বটেই সাধারণ মানুষের চোখ তখন রাজ-মিমের দিকে।

বৃহস্পতিবার পরীর একটা পোস্ট নিয়ে আবারও হইচই পড়ে যায় মিডিয়াপড়ায়। পোস্টে নির্মাতা রায়হান রাফিকে পরী ‘দালাল’ বলেছেন, অভিনেত্রী বিধ্যা সিনহা মিমকে বলেছেন, ‘তার জামাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিলো’, আর স্বামী শরীফুল রাজকে পরী বলেছেন, ‘এটা এতদূর গড়াতে দেয়া উচিত হয়নি তোমার।’

এই পোস্টের পর রাজের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও রাফি ও মীমের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, দেশের এক গণমাধ্যমকে রাফি বলেন, ‘মীমের সাথে আসলে রাজের কিছু হয়নি, পরী ভুল বুঝছে’।

অন্যদিকে মিম গতকাল পরীর পোস্টের প্রেক্ষিতে আরেকটি পোস্ট দেন, সেখানে তিনি লেখেন, ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমার আকাশছোঁয়া সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালোবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি, জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময়ে একটা পক্ষ আমার পথচলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরণের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ‌‌’পরাণ’ ও ‘দামাল’ যে ভালোবাসা আমাকে দিচ্ছে, দেড় দশক আগে ঠিক একইরকম ভালোবাসায় সবাই আমাকে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বানিয়েছে। সবার ভালোবাসাকে গুরু দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়ে আমি আমার পেশাদার অভিনয়জীবন গড়ে তোলা চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি, আগামীতেও করে যাব। আমি কাজ করছি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। শিক্ষক বাবার আদর্শ ও মায়ের শেখানো সততাকে সঙ্গী করে দারুণ কিছু কাজ করার চেষ্টার মধ্য দিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্খিসহ সবার মন জয়ের চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। কখনোই নিজের পেশাদার জীবনের সঙ্গে এমন কিছু যুক্ত করতে দেইনি যা আমার পথচলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি জানি আমার পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ কী, বেড়ে ওঠেছি কোন ধরণের পারিবারিক আবহে, আমার চারপাশটা কেমন– এখন যে বা যারা কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। তবে এসবের বাড়াবাড়ি হলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ভক্ত-শুভাকঙ্খি ও ভালোবাসার মানুষদের এটাও বলতে চাই, কারও কোনো ধরণের মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার এই দীর্ঘ পথচলায় সংবাদকর্মী ভাইয়েরা সবসময় আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। আপনারাই আমার যাবতীয় কাজ, ভাবনা-চিন্তা সঠিক ও সুন্দরভাবে ভক্ত-শুভাকাঙ্খিসহ দেশ-বিদেশের সবার কাছে তুলে ধরেছেন। তাই আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, কোনো ধরণের সত্যতা যাচাই বাছাই না করে বিভ্রান্তিকর কোনো খবর ছড়াবেন না। কোনো ইউটিউব কিংবা পোর্টাল যদি আমাকে জড়িয়ে কোনো ধরণের ভিত্তহীন খবর ছড়ানোর চেষ্ট করে তাহলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধেও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবো।’

এদিকে মীমের এই পোস্টের বিপরীতে পরীও দিয়েছেন পাল্টা পোস্ট। ১১ নভেম্বর ভোররাতে দেওয়া পোস্টে পরী লিখেছেন, ‘আসেন তাহলে কিছু বিষয় ক্লিয়ার করি। এই যে মিম বললা আমি জেলাসি করলাম তোমার সাথে! এটা দশ জন আননোন লোকে বলতেই পারে কিন্তু তুমি কি করে এটা বলো? যেখানে পরান রিলিজের পর সব খানে আমি বলে আসছি রাজের সাথে তুমি জুটি হয়ে কাজ করো। তোমাদের জুটি দেখতে ভালো লাগে।এটা তোমরাও চাও। তোমার মা ও সেদিন আমাদের লিভিং রুমে আমার সাথে এই নিয়ে কতো কথা বললাম। এই তো সেদিন ইনফিনিটি সিজন ২ এর জন্যে তোমাকে নক দিলাম আমি। কি করে ভুলে গেলি রে ভাই। ৫ দিন আগেও আবু রায়হান জুয়েল ভাই কে বললাম রাজ আর মিম কে জুটি করে নেক্সট কাজটা করে ফেলেন ভাই। কিন্তু বিশ্বাস কর ভাই মিম, রাজের সাথে তোর এই অতি মাখামাখিটা আমার সংসার,আমার বাচ্চা,আমার লাইফ সব কিছুতে ঝামেলা করে দিচ্ছে। এই যে দামালের তিন মাসের হল রাইটস নিলা রাজ তুমি,তোমরা সবাই এই হলো কাল এখন আমার জীবনের। এখন তোমা‘দের ব্যবসায়িক ছুতোয় আলাপ চলে রাত দিন। বিশ্বাস করো তোমাদের এই মাঝ রাত্তিরের ফোন আলাপ আমার সত্যিই প্রবলেম করে। আমি একা সারারাত বাচ্চাটাকে সামলাই। এসব বন্ধ করো।‘

অনেকে ধারণা করছেন, মাতৃত্বকালীন মেয়েরা এমনিতেই নানা হতাশায় ভোগে, তার উপর পরী দীর্ঘদিন কাজ থেকে দূরে আছেন, এসবকিছু নিয়েই তিনি হয়তো হতাশায় ভুগছেন। এ কারণেই হয়তো রাজের সাথে মিমের এই বন্ধুত্বকে তিনি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না। তবে এসব তো দূর থেকে দেখে বোঝা যায় না, আসল ব্যাপার রাজ-মিমই ভালো জানেন যা হয়তো পরীরও অজানা!

https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/3220190808292581

Advertisement
Share.

Leave A Reply