র্যাগিংয়ের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘র্যাগিংয়ের ঘটনায় ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১১ জনের মধ্যে একজনকে দুই বছর ও ১০ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ মঙ্গলবার জারি করা হয়।
সেই আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে র্যাগিংয়ের ঘটনায় এই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে।
যে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়, তারা হলেন- অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস বিভাগের মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ ও মো. রোজেন নুর, মার্কেটিং বিভাগের মো. শিহাব ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. ফয়জুল ইসলাম নিরব, বাংলা বিভাগের মো. শিমুল আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সাকিল মাহমুদ, ইতিহাস বিভাগের সারোয়ার হোসেন সাকিল, চারুকলা বিভাগের মো. আকাশ হোসেন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের মো. তামিম হোসেন ও মো. রিজওয়ান রাশেদ সোয়ান।
এই আদেশে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৪৭তম (দ্বিতীয় বর্ষ) ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ৪৮তম ব্যাচের (প্রথম বর্ষ) শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি অনলাইনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক বিশেষ সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের দিন থেকে এ বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।
এই আদেশে জানানো হয়, ঘটনার সময় বহিষ্কৃতরা সবাই বঙ্গবন্ধু হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। বহিষ্কারের নির্ধারিত সময়ে এই শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল কিংবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না। এছাড়া বহিষ্কারাদেশ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু হল ছেড়ে তাদের জন্য বরাদ্দ করা হলে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়।
