fbpx

লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা বিআইডব্লিউটিএ’র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ক্রমশ হবিগঞ্জ-সিলেট হয়ে মেঘালয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং পরবর্তী করণীয় জন্য বিআইডব্লিউটিএর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়। সেইসঙ্গে উদ্ধারকারী নৌযানগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছিল।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা–কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।

ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল ছেড়ে এলেও এখনো উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য রয়েছে। এই অবস্থায় মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply