fbpx

লাল সিং চাড্ডায় মাতেনি ভারতীয়রা, প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামিয়ে ফেলার শঙ্কা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ছবির বাজেট ১৮০ কোটি রুপি। শুরুটা মোটামুটি ভালই হয়েছিলো। তবে ওই শুরুই যে শেষ হবে, তা কে জানত। আমির খান অভিনীত লাল সিং চাড্ডা মুক্তি পেয়েছে ১১ আগস্ট। মুক্তির দিনে বক্স অফিসের আয় ছিলো সাড়ে ১১ কোটি রুপি। কিন্তু পরেরদিনই অর্থাৎ ১২ আগস্ট সিনেমার আয় কমে গেলো ৩৭ শতাংশ। ঝুলিতে এল মাত্র সোয়া সাত কোটি রুপি। আর এতেই অনেকে বলে দিলেন, আমিরের এই সিনেমা এক সপ্তাহের পর প্রেক্ষাগৃহে রাখা মুশকিল হবে।

১৩ আগস্ট অবশ্য আয় বাড়লো ২০ শতাংশ। যা নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছিলেন ছবির বাণিজ্য বিশ্লেষক থেকে নির্মাতারা। কিন্তু রবিবার ছুটির দিন সত্ত্বেও মাত্র ১৫ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে। সোমবার ১৫ আগস্ট। এমনিই বেশি মানুষ হলমুখী হবেন না। সে ক্ষেত্রে হাতে রইল আর মোটে এক দিন। সব মিলিয়ে মোট আয় ৪৬ কোটি রুপির বেশি কোনভাবেই হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেখা যাচ্ছে শুরুর দিনটিতেই সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছিল অদ্বৈত চন্দন পরিচালিত ‘লাল সিং চড্ডা’র। এহেন ভরাডুবি আমির খানের কোনও ছবির ক্ষেত্রেই এখনও অবধি হয়নি বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

তবে কি একে ‘অসময়ের ছবি’ হিসাবে আলাদা করে দেখা হবে? করোনা-পরবর্তী সময়ের দৈন্য বলে ধরা হবে? সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন একাংশ। কারণ বিশ্ব বাণিজ্যের দিক থেকেও তুলনামূলক কম আয় হয়েছে। ‘ফরেস্ট গাম্প’ অবলম্বনে ছবি বলে বিভিন্ন দেশের মানুষ যা-ও বা দেখেছেন, তাতে বৈদেশিক মুদ্রায় ছবির সংগ্রহে এসেছে ৮৪ কোটি টাকা। সেটাও আমির খান অভিনীত অন্য যে কোনও ছবির তুলনায় কম।

আমিরের কেরিয়ারেও কী তবে মন্দা শুরু হয়েছে? ভারতজুড়ে এত এত মানুষ তাকে বয়কটের ধুয়ো তুলছে দেখে সে আশঙ্কাও এড়িয়ে যাচ্ছেন না সমালোচকরা।

অন্যদিকে এই সিনেমা দেখে আরেক বলিউড অভিনেতা ঋত্বিক রোশন ভূয়সী প্রশংসা করে টুইট করেছেন এই বলে যে, ‘সবেমাত্র লাল সিং চাড্ডা দেখলাম। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া একটি সিনেমা। ভালো ও খারাপ সরিয়ে রেখে এই সিনেমা অনবদ্য। এই অসাধারণ সিনেমা মিস করবেন না। এখনই যান ও দেখুন। খুবই সুন্দর সিনেমা’।

এই টুইটের সাথে সাথে টুইটার ব্যবহারকারীরা ঋত্বিকের সিনেমাকেও বয়কটের ডাক দিয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply