fbpx

শফীর মৃত্যু নির্যাতনে, বাবুনগরীর কমিটি ‘মামা-ভাগনের সিন্ডিকেট’- দাবি ছেলেদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হেফাজত ইসলামের প্রয়াত আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এটি তার ওপর চালানো মানসিক নির্যাতনের কারণেই। এমন দাবি করেছে তার ছেলেদের অনুসারী আলেমদের একটি অংশ। এই অংশের অনেকেই আগে হেফাজতের কমিটিতে বিভিন্ন পদে ছিলেন। তাঁরা বলছেন, মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি ‘মামা-ভাগনের সিন্ডিকেটের অবৈধ কমিটি’।

মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন আহমদ শফী আল মাদানী। সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের পেছনের ব্যানারে লেখা ছিল ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি চিহ্নিত উগ্রগোষ্ঠী ছাত্র-শিক্ষকদের জিম্মি করে মাদ্রাসায় অরাজকতা সৃষ্টি করে। সেই উগ্রগোষ্ঠীর কয়েক শ সদস্য এখনো হাটহাজারীতে অবস্থান করছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে রেখে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামের আদালতে নালিশি মামলা করেছেন তাঁর শ্যালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মামলা করার পর থেকেই মঈন উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধমকি ও জীবননাশের ভয় দেখানো হচ্ছে। আহমদ শফীর মৃত্যু যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে তো কারও আতঙ্কিত হওয়ার কথা না। কিন্তু মামলা করার পর বিশেষ মহল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটিকে ‘মামা-ভাগনের সিন্ডিকেটের অবৈধ কমিটি’ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হাটহাজারী মাদ্রাসার দায়িত্ব ছিনিয়ে নেওয়া এবং আহমদ শফীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মাসখানেক পর হেফাজতে ইসলামের নামে মামা-ভাগনে অবৈধ কাউন্সিল করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একটি অবৈধ কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটি অবৈধ ও অসাংবিধানিক। এই কমিটিকে ‘ঘৃণাভরে’ প্রত্যাখ্যান করা ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আহমদ শফীর মৃত্যুরহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের শাস্তি; তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা; আহমদ শফীর পরিবারের সদস্য ও তাঁর অনুসারীদের নিরাপত্তা বিধান; আহমদ শফীর রেখে যাওয়া অঙ্গনগুলো থেকে বিরোধীদের অপসারণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আহমদ শফীর আরেক ছেলে আনাস বিন আহমদ শফী (আনাস মাদানী), আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার বাদী ও আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ প্রমুখ।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply