আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে শুরু হয়েছে শারীরিক উপস্থিতিতে দেশের সব অধস্তন আদালতের বিচারকাজ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাবার কারণে গত ৫ই এপ্রিল থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ করে ভার্চুয়ালি পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত ১৬ই জুন সরকার এক মাসের বিধিনিষেধ বাড়ানো ঘোষণার সাথে সাথে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনাও দেয়। শনিবার রাতে আদালতের কার্যক্রমও শারীরিক উপস্থিতিতে চালানোর সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে।
তবে রবিবার থেকে দেশের সব নিম্ন আদালত পুরোদমে খুললেও যেসব এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউন জারি করা হয়েছে, সেসব এলাকায় ভার্চুয়ালি বিচার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলায় যে ক্ষেত্রে আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই সেক্ষেত্রে পক্ষগণের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে নির্ধারিত তারিখে হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাসে কক্ষে হাজির করার আবশ্যকতাও থাকছে না।