সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আশিষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। আর উচিত শিক্ষা দিতেই হত্যা করা হয় অভিনেতাকে। সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই দিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার(৫ এপ্রিল) রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে মদসহ আশিষকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ ও র্যাব সদরদপ্তরের একটি দল।
বুধবার(৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আশিষকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য তুলে ধরেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘বনানী ট্রাম্পস ক্লাব নিয়ে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে ক্লাবটির মালিক বান্টি ইসলাম ও আশিষ চৌধুরীর ঝামেলা ছিল। এছাড়া আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এরপর তিনজন মিলে সোহেলকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। আর সেটার দায়িত্ব দেয়া হয় ইমনকে।’
ঘটনার দিন ইমন, আদনানসহ আরও কয়েকজন মিলে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে বলে র্যাবকে জানিয়েছেন আশিষ চৌধুরী।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য দুই আসামি হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান।
দীর্ঘদিন এ মামলার বিচার কাজ স্থগিত ছিল উচ্চ আদালতের আদেশে। এরপর ২০১৫ সালে এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহারের সেই আদেশসহ মামলার নথি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে আসে।