fbpx

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ঢাবির ৬৮ শিক্ষার্থী-কর্মচারীকে বহিষ্কার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ জন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে তাদের বহিষ্কারের কারণ ব্যাখ্যা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতদের মধ্যে  শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৭ জন এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বের দায়ে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- মৃৎশিল্প বিভাগের জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের মর্তুজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. রিয়াদ মাল এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. আব্দুল ওহেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৃৎশিল্প বিভাগের সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে আটক রাখে। তার ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নামে লালবাগ থানায় মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে দু’জনকে পরীক্ষাসহ তিন সেমিস্টার, ৪০ জনকে পরীক্ষাসহ দুই সেমিস্টার এবং ১৮জনকে পরীক্ষাসহ এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তাছাড়া ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রক্টর অফিসের মো. শামীম হোসেনকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply