কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া মাঠে লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ জুলাই (রবিবার) সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ শুরু হয়। শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৫তম জামাত ছিল এটি।
নামাজ শেষে যুদ্ধবিগ্রহ ও করোনামুক্ত বিশ্ব, দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ঈদের জামাতকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল মাঠে। তবে এবারো ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মাঠে প্রবেশের নির্দেশনা ।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, এবার নিরাপত্তা নিয়ে কোনও হুমকি ছিল না। তারপরও শোলাকিয়ার গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এখানে নামাজ পড়তে এসে মুসল্লিরা যেন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় না থাকেন, তাদের মধ্যে কোনও অস্বস্তি না থাকে, সেভাবেই তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়।’
ভোর থেকেই ঈদগাহ মাঠে আসতে থাকেন মুসল্লিরা। ৯টার আগেই ভরে যায় মাঠ। প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে, অন্যয়টি ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে যায়। ঈদগাহ এলাকায় কয়েকটি মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মোতায়েন ছিল। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে ছিলেন বিপুল সংখ্যক স্কাউট সদস্য।
জনশ্রতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের নামাজে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া, যা এখন শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
