শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে (এসএলসি) দেশটির সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই নিষেধাজ্ঞ বহাল থাকলেও লঙ্কানরা সব ধরনের ক্রিকেটে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। আজ আইসিসির বোর্ড সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
আইসিসি ইভেন্টে অংশ গ্রহণের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজও আয়োজন করতে পারবে শ্রীলঙ্কা। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটও চালিয়ে যেতে পারবে তারা। তবে এসএলসির আর্থিক দিক নিয়ন্ত্রণ করবে আইসিসি।
২০২৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। তবে আইসিসি সেই টুর্নামেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনিক ডামাডোলের দিকে তাকিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই ভেঙে দেয়া হয়েছিল লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। একই সঙ্গে নতুন পরিচালনা কমিটি নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব দেয়া হয় সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গার নেতৃত্বাধীন কমিটিকে।
সেই সিদ্ধান্তই কাল হয় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্য। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ চলবে না। তাই আইসিসি নিয়ম ভঙ্গ করায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য পদ বাতিল করে।
আইসিসির এক জরুরি সভায় আজ (মঙ্গলবার) এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আগামী বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আসর আর সেখানে হবে না। তা সরিয়ে নতুন আয়োজক করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
আইসিসি সভায় আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, লঙ্কান ক্রিকেট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে নিষেধাজ্ঞা এখনই উঠিয়ে নেয়া হবে না। ফলে দেশটিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্রিকেট চালু থাকবে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ পূর্বানির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায়ও সেই একই সময়ে এই আসর আয়োজন করা হবে জানা গেছে। তবে একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের (সিএসএ) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুটি টুর্নামেন্টই একই সময়ে আয়োজন করা যেতে পারে। ফলে দুইটি টুর্নামেন্ট আয়োজনে তেমন কোন বাঁধার মুখে পড়বে না ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।