সড়কে যান চলাচলে আগেও বিমা করা বধ্যতামূলক ছিল। বিমা ছাড়া সড়কে যানবাহন চলাচল করা ছিল নিষিদ্ধ। তবে ২০১৮ সালে আইন করে তা তুলে দেয়া হয়।
তবে আবারও মোটরসাইকেল, যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত ও অফিশিয়াল গাড়ি, ট্রাকসহ কোনো ধরনের যানবাহনই বিমা ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। বিমা ছাড়া যানবাহনগুলোকে গুনতে হবে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা। পুলিশ এক্ষেত্রে চাইলে মামলাও করতে পারবে।
এমন সব ধারা যুক্ত করে আইন সংশোধনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত সোমবার চিঠি পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী মঙ্গলবার (২৩মে) রাতে জানায়, ‘তদের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। আজ আমি বিষয়টি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলব। তার সাথে আলাচনার পরেই বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে আইন সংশোধন হতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে।
গত ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বিমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমা ছাড়া যাতে কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে সে জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ওই দিন বলেছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে দেখব যে যথাযথ বিমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন যেন না চলে। এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সূত্রগুলো জানায় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকেই আইন সংশোধনের ভিত্তি হিসেবে নেওয়া হয়েছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ ব্যাপারে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সারসংক্ষেপ পাঠালে প্রধানমন্ত্রী তাতে হুবহু অনুমোদন করেন বলে সূত্রগুলো জানায়।
সারসংক্ষেপে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর ধারা সংশোধনের যুক্তি হিসেবে বলা হয়, বিশ্বের কোনো দেশই বিমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব বলছে দেশের সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন ধরনের মোট যানবাহন ৫৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১৮টি।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়েছে, বিমা করা বাধ্যতামূলক না থাকায় এগুলো থেকে প্রতিবছর কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাবদ ৮৪৯ কোটি টাকা ও স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ ২৮ কোটি টাকা অর্থাৎ ৮৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।