fbpx

সরকারি স্কুলে ৮০ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন ৫ লাখ   

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শেষ হলো সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম। রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় এ আবেদনের কার্যক্রম শেষ হয়। এই কার্যক্রম শেষে দেখা গেছে, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

সফটওয়্যারের মাধ্যমে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বিকেলেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৮০ হাজার শূন্য আসনের জন্য ৫ লাখের কাছাকাছি আবেদন এসেছে। রবিবার বিকেল ৫টায় আবেদনের সময় শেষ হলেও রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ফলে মোট আবেদন সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘এবার দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একযোগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং একযোগে শেষ হচ্ছে। এ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখের কাছাকাছি আবেদন জমা হয়েছে। অনেকে এক বিদ্যালয়ে একাধিক শিফটে আবেদন করেছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর লটারি আয়োজন করা হবে। সেদিনই রাতের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে’।

চলতি বছরের ভর্তি নীতিমালায় নতুন কিছু পরিবর্তন এনেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। যেখানে ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়ার পরিবর্তে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আর ভর্তি ফরমের দাম কমিয়ে ১৭০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা করা হয়।

তবে করোনার কারণে এবার স্কুলে বড় আয়োজনের মাধ্যমে লটারি অনুষ্ঠিত হবে না। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে যেখানে টেলিটক মোবাইল কোম্পানি সহায়তা প্রদান করবে।

জানা গেছে, রাজধানীতে বর্তমানে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তিনটি শাখা রয়েছে। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যালয়গুলোতে আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয়ও যুক্ত হচ্ছে। মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায়  ভর্তির কাজটি করা হয়। এছাড়া ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজারের মতো আসন রয়েছে।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছে ভর্তির কাজটি করা হবে। একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবে। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এতোদিন পর্যন্ত একটি গুচ্ছের মাধ্যমে একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারতো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply