কুমিল্লায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু (৩৫) র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
শনিবার রাত ২টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের গোলাবাড়ি এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় রাজু নিহত হন বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
রাজু কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানের অভিযোগসহ ‘বেশ কয়েকটি’ মামলা য়াছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মেজর সাকিব বলেন, ‘গোলাবাড়ি এলাকায় ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিরা’ অবস্থান নিয়েছে, এমন খবর পেয়ে র্যাবের টহল দল অভিযানে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করে। জবাবে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি শেষে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।‘
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরে জানতে পারি ওই ব্যক্তি সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি রাজু- জানান র্যাব কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় তাদের একজন সদস্যও আহত হয়েছেন, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মেজর সাকিব বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী রাজুর মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।‘
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদনগর এলাকায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনি আনন্দ টেলিভিশনের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এ ছাড়া দৈনিক কুমিল্লার ডাক নামে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে স্টাফ রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় নাঈমের মা নাজমা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামির তালিকায় রাজুর নাম ছিল এক নম্বরে। এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
