fbpx

সালমান শাহর মৃত্যুর পাঁচ কারণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মৃত্যুর ২৬ বছর পরও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি সালমান শাহর। বাংলাছবির জনিপ্রয় এই অভিনেতার ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার মৃত্যু রহস্য নিয়ে এখনো আলোচনা হয় ভক্তদের মাঝে। মৃত্যু না আত্মহত্যা? এই প্রশ্নের দুই ধরনের উত্তর পাওয়া যায় পুলিশ ও সালমান শাহর পরিবার থেকে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়নি, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা একজন অভিনেতা হুট করে কেনই বা আত্মহত্যা করবেন? এই প্রশ্ন থেকে যায় অনেকের মনে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে পিবিআই। সরকারের এই গোয়েন্দা সংস্থাটি সালমান শাহ আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ বের করেছে। আসুন জেনে নিই কারণগুলো।

১. চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।

২. স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ

৩. বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা।

৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যা জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি করে অভিমানে রূপ নেয়।

৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে সালমান শাহ মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত শেষে মৃত্যুর এই পাঁচ কারণ তুলে ধরেন পিবিআই।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

এরপর ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। ওই সময় অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে থানা পুলিশের পরিবর্তে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

এরই মধ্যে তার মৃত্যুর ২৩ বছর পেরিয়ে যায়। এর মাঝে কয়েক দফা তদন্তে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তবে তা বরাবরই নাকচ করেছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী।

এ অবস্থায় ২০১৬ সালের শেষ দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নতুন করে এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়। এর সূত্র ধরেই তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply