প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হয়েছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জে জন্ম নেয়া প্রবাসী বাংলাদেশি শামসুল হক।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন ১৯৯১ সালে। প্রবাসে শামসুল হকের সংগ্রাম ছিল অহর্নিষ। কাজ করেছেন বাসবয়, ডেলিভারিম্যান ও ম্যানেজারসহ নানা পদে। পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি। ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন ডিপ্লোমা ডিগ্রি। পরে লাগোয়ার্ডিয়া কমিউনিটি কলেজ ও বারুখ কলেজ হয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি এনওয়াইপিডি’তে যোগ দেন। ২০১০ সালে তাকে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পাবার পর তিনি এনওয়াইপিডির অভ্যন্তরীণ বিষয়ক তদন্ত গ্রুপের দায়িত্ব নেন।
গত শুক্রবার কুইন্সে এনওয়াইপিডি’র একাডেমিতে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে তিনি অভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি এনওয়াইপিডি’র গোয়েন্দা স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন।
এনওয়াইপিডিতে কর্মরত বাংলাদেশিদের নিয়ে শামসুল হক প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)’। তিনি এখন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশে শামসুল হকের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাঘার গ্রামে। তিনি স্ত্রী রুবিনা হক ও দুই ছেলে নিয়ে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করেন। তার পদোন্নতিতে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটি উল্লাস প্রকাশ করেছেন। ঘরকুনো বাঙালির বিশ্বজয়ের পথে এ যেন এক নতুন পদক্ষেপ।