fbpx

সুদান থেকে ৭০০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সুদানে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সুদানে প্রায় এক হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বর্তমানে সুদানে যুদ্ধবিরতি চলছে, কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আটকেপড়া বাংলাদেশিদের প্রথমে খার্তুম থেকে সুদান বন্দরে এবং সেখান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে।

জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের কয়েকটি ফ্লাইটে এসব বাংলাদেশিকে ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে খার্তুম এবং এর আশপাশের শহর থেকে বাংলাদেশিদের খার্তুম থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুদান বন্দরে নেওয়ার জন্য ৯টি বাসের ব্যবস্থা করেছেন।

জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের একটি টিম দূতাবাসকে সহায়তার জন্য আগামীকাল সুদান পৌঁছাবে।

সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিগত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলমান। গত দুই সপ্তাহে এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এ পর্যন্ত প্রায় চারশর অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও জাতিসংঘ কর্মী, মিশরের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও রয়েছেন।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সুদান থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

বাংলাদেশিদের পোর্ট সুদান থেকে পোর্ট জেদ্দায় পরিবহণের জন্য সৌদি সরকার বিনামূল্যে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজ দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

২ মের মধ্যে সব বাংলাদেশিকে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত বিষয়টি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনার জন্য বর্তমানে পোর্ট সুদানে অবস্থান করছে।

৩ মে বা ৪ মের মধ্যে বাংলাদেশিরা জেদ্দা পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জেদ্দার দুটি বাংলাদেশ স্কুলে সুদান প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্হা করা হয়েছে। খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে প্রায় ১২ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে প্রবাসীদের যেন শারীরিক কোনো সমস্যা না হয়, এ বিষয়টি মাথায় রেখে পোর্ট সুদানেও বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সুদান প্রবাসীরা যেদিন জেদ্দা পৌঁছাবেন, সেদিন থেকেই বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরের প্রাক্কালে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন। সুদানের রাষ্ট্রদূতের অফিস এবং বাসভবন আক্রান্ত হলেও তিনি অন্যত্র অবস্থান করে অফিস পরিচালনা করছেন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের নির্দেশনায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার কনসাল জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুদান প্রবাসীদের নিরাপদে এবং সর্বোচ্চ কম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বদ্ধপরিকর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply