পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ১৬ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং এবং প্রতি বছর মারা যান ৬ হাজার ৫৮২ জন নারী। জরায়ুমুখ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হন বলে মৃত্যুসংখ্যা বেশি হয়। নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। এতে আক্রান্তের হার বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ এবং দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জরায়ু ক্যান্সার বিশ্বে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ নারী মারা যান যার মধ্যে ৯০ ভাগই ঘটে উন্নয়নশীল দেশে। তবে WHOSAGE এর সর্বশেষ সুপারিশ অনুযায়ী দেশের National Immunization Technical Advisory Group of Experts (NITG) এর সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ ডোজ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান করলে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এজন্য আমরা দেশের ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এই এইচপিভি টিকা দেয়া শুরু করবো। আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হবে।’
সোমবার (৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য জানিয়েছেন
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের হাতে সাড়ে ২৩ লাখ ভ্যাক্সিন আছে। এগুলো স্কুল পর্যায়ে থেকে দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকায়, ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম, বরিশালে দেওয়া হবে। এরপর সারাদেশে দেয়া হবে। আগামী নভেম্বর মাসে আরও ২০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে এবং ২০২৪ সালে আরও ৪২ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।’
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাড়তে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে দেশে ৪৫ হাজার জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, অথচ এই সংখ্যা গত ২০২২ সালে জুলাই মাসে ছিল মাত্র ১৫০০ জন। এ বছর এ পর্যন্ত ৩১৩ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছে। আমরা ঢাকায় ৩ হাজারটি ডেঙ্গু বেড প্রস্তুত রেখেছিলাম। তার মধ্যে ২ হাজার ১০০ এর মতো ভর্তি হয়ে গেছে। প্রায় ৮০০ বেড খালি থাকলেও ঠিকভাবে মশা কমানো না গেলে ভবিষ্যতে আমাদেরকে আরো বেড প্রস্তুত রাখতে হবে।’