এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে ৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর আশীষ রায় চৌধুরীর বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। র্যাব কর্মকর্তারা রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে আশিষকে বাড়ি থেকে বের করে একটি মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ক্লাব ট্রাম্পসের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামও ছিল। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আশিষ চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আদনান সিদ্দিকী, তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও ফারুক আব্বাসী।
আশিষ চৌধুরী শুরু থেকেই লুকিয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাও ছিল। গত ২০ মার্চ আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান।
এ মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের পর আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করেন এবং এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন। দেশের একাধিক বেসরকারি বিমান পরিচালনা সংস্থায় ঊর্ধ্বতন পদে কর্মরত ছিলেন আশীষ রায় চৌধুরী।