প্রতিবারের ন্যায় এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদ্যাপন হচ্ছে। এসব এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিন রোজা শুরু হয়, সেই হিসেবে একদিন আগে ঈদুল ফিতরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) যেসব এলাকায় ঈদ উদ্যাপন হচ্ছে, সেগুলো হলো- মৌলভীবাজার, চাঁদপুর পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাটের মোংলা, মাদারীপুর ও সাতক্ষীরায়।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মৌলভীবাজারে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টায় সার্কিট হাউস এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঈদের জামাত। এ ঈদের জামাতের ইমামতি করেন আবদুল মাওফিক চৌধুরী। এতে শতাধিক মুসল্লি (নারী-পুরুষ) অংশ নেন।
চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন হচ্ছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের অন্যতম প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।এতে ইমামতি করেন মাওলানা এসএম রহমতুল্লাহ।
মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের চটেরহাটসহ কয়েকটি এলাকায় শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপন হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৮টায় চটেরহাট বাজার জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদে নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে মিষ্টি মুখ করেন মুসল্লিরা।
সাতক্ষীরার বাওখোলা ও ভাড়ুখালীতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলায় প্রায় ২৫টি গ্রামের তিন শতাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। সকাল ৮টায় দ্বিতীয় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করছেন। শুক্রবার সকালে জেলার প্রধান ও বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরিফ মাঠে। প্রথম জামায়াত সকাল ৯টা ও দ্বিতীয় জামায়াত সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া পটুয়াখালী, মাদারীপুরের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে আগাম ঈদুল ফিতর পালন উদ্যাপন করছেন।