fbpx

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে খাশোগি হত্যা প্রসঙ্গ তুললেন বাইডেন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সৌদি আরব সফর করছেন বাইডেন। যদিও এর আগে তিনি মানবাধিকার ইস্যুতে দেশটিকে একঘরে করার অঙ্গীকার করেছিলেন। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

বাইডেন বলেন, সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে আমি পরিষ্কার করেছি যে ২০১৮ সালের ওই হত্যাকাণ্ড আমার ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

তবে তিনি আরো বলেন, দুই দেশ অন্যান্য ইস্যুতে সমঝোতায় পৌছেছে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে বাইডেনের এ সফর সৌদি সরকারকে বৈধতা প্রদানের শামিল বলে সমালোচনা করা হচ্ছে।

এই হত্যাকাণ্ডের অনুমতি প্রদানের জন্য যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে অভিযুক্ত করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

তবে যুবরাজ বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, আর সৌদি আইন কর্মকর্তারা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘দুর্বৃত্ত’ সৌদি এজেন্টদের দায়ী করেন।

শুক্রবার জেদ্দায় যুবরাজ সালমানের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিকে সম্মান জানিয়ে আমি বৈঠকের শুরুতেই বিষয়টি উত্থাপন করি। আমি পরিষ্কার করেছি হত্যাকাণ্ডের সময় আমার মনোভাব কি ছিল এবং বর্তমানে আমার মনোভাব কি।

বাইডেনের উধ্বৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, “সৌদি যুবরাজ দাবী করেন যে ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী নন। তখন আমি বলি যে, আমি ভেবেছিলাম এর জন্য তিনি (মোহাম্মদ বিন সালমান) দায়ী।”

তবে খাশোগির বাগদত্তা হাতিজে চেঙ্গিজ, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। টুইটারে বাইডেন ও মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, আমি কল্পনা করি খাশোগি বলছেন, “এটাই কি সেই জবাবদিহিতা যা আপনি আমার হত্যাকাণ্ডের জন্য অঙ্গীকার করেছিলেন? এমবিএস-এর পরবর্তী ভিকটিমের রক্তের দাগ আপনার হাতে।”

Advertisement
Share.

Leave A Reply