এবার সিওও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ।
তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন জাভিয়ান অলিভান, যিনি মেটার প্রধান বৃদ্ধি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি প্রতিষ্ঠানটির সিওওর দায়িত্ব কাঁধে নেবেন।
২০০৮ সালে ফেসবুকের শুরুর দিকে স্যান্ডবার্গ, মার্ক জুকারবার্গের ডেপুটি হিসেবে ফেসবুকে যোগদান করেন এবং প্রযুক্তি শিল্পে ফেসবুককে বিজ্ঞাপনবান্ধব একটি শক্তিশালী কোম্পানিতে পরিণত হতে জুকারবার্গকে সহায়তা করেন। তাদের যৌথ প্রয়াসেই কোম্পানিটির মার্কেট ক্যাপিং ১ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
গত সপ্তাহেই স্যান্ডবার্গ দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গকে অবহিত করেন। তবে সিওও পদ ছাড়লেও তিনি মেটার পরিচালনা পর্ষদে কাজ চালিয়ে যাবেন।
জুকারবার্গ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি আমাদের বিদ্যমান কাঠামোতে শেরিলের ভূমিকা প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করছি না। আমি মনে করি না এটি করা সম্ভব হবে। কারণ তিনি একজন সুপারস্টার, যিনি সিওওর ভূমিকাকে নিজের অনন্য উপায়ে সংজ্ঞায়িত করেছেন।’
সিওওর দায়িত্ব পালনের সময় ফেসবুকের ব্যাপক প্রসার ঘটলেও নানা প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছেন শেরিল। ভুল তথ্য, ক্ষতিকর উপাদান, জাতিবিদ্বেষগত বিষয়গুলোর বিস্তার ঠেকাতে ফেসবুকের ব্যর্থতা নিয়েও বারংবার সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
গত তিন বছরে গ্রাহকের গোপনীয়তা-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সিইও জুকারবার্গকে একাধিকবার কংগ্রেসের মুখোমুখি হতে হয়েছে। যদিও স্যান্ডবার্গ সে সময় স্পটলাইট থেকে খানিকটা দূরেই ছিলেন।
ফেসবুকে যোগদানের আগে স্যান্ডবার্গ, সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন প্রশাসনের ট্রেজারি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া গুগলেও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।