বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে গত ৪ নভেম্বর রাত সোয়া ২টায় যাত্রাবাড়ী মোড়ে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশিদ।
আজ ১৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিকদের তিনি এমনটা জানান।
হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, যাত্রাবাড়ী মোড়ে ওই রাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক যুবককে লেগুনায় উঠতে দেখা গেছে। লেগুনায় আরও ৪ জন ছিলেন। গাড়িটি তারাবোর দিকে যাচ্ছিলেন। ওই গাড়ির চালক ও সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
তবে বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মৃত্যুর পেছনের কারণ এখনো জানতে পারেনি ডিবি। এছাড়া তাকে ঠিক কোথায় হত্যা করা হয়েছে, তাও এখনো জানা যায়নি বলেও জানান ডিবি প্রধান।
এদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবের তথ্য বলছে, চনপাড়া বস্তির মাদক চোরাকারবারি রায়হান মাহমুদ ও তার চক্রের সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত।
র্যাব আরও বলছে ওই দিন (৪ নভেম্বর) রাত ২টা ৩৪ মিনিটে চনপাড়া বস্তির কাছে ফারদিনের মোবাইল ফোনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, রায়হান ও এর সঙ্গে জড়িত অন্যরা গ্রেপ্তার হলেই বিষয়টি পরিষ্কার জানা যাব।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা লেগুনার ৩ যাত্রীকে বিশ্বরোডে ও অপর যাত্রীকে পরের স্টপেজে নামানো হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছে, ওই জায়গা থেকে চনপাড়া পৌঁছাতে অন্তত ১ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। সুতরাং, ভোররাত আড়াইটার দিকে চনপাড়া বস্তিতে ফারদিনের উপস্থিতি সম্ভব নয়।
তবে তদন্তকারীরা আরও বলছেন, ফারদিনের মরদেহ চনপাড়ায় প্রাইভেট কারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এটাও সত্য নয়।
নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
