fbpx

৬১ দিন কারাভোগের পর বুশরা মুক্ত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে ৬১ দিন কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন আমাতুল্লাহ বুশরা।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বুশরাকে তার বাবা মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ওবায়দুর রহমান।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষ আদালত থেকে পাঠানো বুশরার জামিন আবেদনের কাগজপত্র হাতে পায়। যাচাই-বাছাই করে আজ সকালে বুশরার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।

এর আগে গত রবিবার বুশরার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৩ দিন পর গত বছরের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারদিনের বন্ধু বুশরা ও অজ্ঞাত এক আসামি তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। বুশরা ও ফারদিন গত ৪ বছর ধরে পরিচিত ছিলেন।

ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) দায়ের করার দুদিন পর গত ১০ নভেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বুশরাকে বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর জামিন আবেদন খারিজ হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরে ৫ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের পর পুনরায় জামিন আবেদন করেন বুশরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply