দেশব্যাপী শেষ হয়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া। ভর্তির জন্য ৮০ হাজার সিটের বিপরীতে আবেদন করেছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩১১ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রতি সিটের জন্য গড়ে আবেদন জমা পড়েছে সাতটির বেশি।
আগামী ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে লটারি হবে। শিক্ষামন্ত্রী লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পেরেছে। এতে নতুন আবেদনসহ মোট আবেদন পড়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩১১টি। হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে আবেদন নেওয়ার পর আবেদন জমা পড়েছে ৭৯ হাজার ২৬টি।
আর আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ জানুয়ারি এই লটারি হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এবং যারা লটারিতে নির্বাচিত হবে, তারা ভর্তির জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বয়সের কারণে যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারে নি,নতুন করে তাদের আবেদন করার সুযোগ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভর্তির লটারির নতুন তারিখ ঘোষণা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগে বয়সের কারণে আবেদন করতে না পারা শিক্ষার্থীরা এখন আবেদন করতে পারবে। আবেদনের জন্য সফটওয়্যার বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদনের জন্য সফটওয়্যার চলমান থাকবে। আর আগামী ১১ জানুয়ারি ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গেল ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।তখন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। সে সময় মোট আবেদন পড়েছিল ৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৫টি।
কিন্ত বয়স সংক্রান্ত জটিলতায় আবেদন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের একজনের অভিভাবক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। আদালত সেই রিট আমলে নিয়ে ভর্তির সময় বাড়ানোর এবং যে কোনো বয়সের শিক্ষার্থী প্রথম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে বলে আদেশ দেন।
আগামী ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি উদ্ধোধন করবেন। সফটওয়্যারের মাধ্যমে হওয়া এ লটারি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা দেখতে পারবেন।
পাশাপাশি স্কুল প্রধানরা তার আইডি দিয়ে এ লটারিতে অংশ নিতে পারবেন। পরবর্তীতে টেলিটক সংশ্লিষ্ট স্কুলের ফলাফল প্রতিষ্ঠানের মেইলে পাঠিয়ে দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সেটি প্রিন্ট করে স্কুলের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেবে।