রাজধানীতে শুক্রবার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ছবিমেলা ২০২১ শুরু হয়েছে। বিকাল ৪টায় উদ্বোধনের পর ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছবিমেলার এই বিশেষ সংস্করণ ঘুরে দেখা যাবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। করোনাকালে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এর প্রতিটি আয়োজনের ভার্চুয়াল প্রদর্শনীও থাকছে। সশরীরে না গিয়েও অনলাইনে প্রদর্শনী দেখতে পারেন সবাই।
ফেইসবুকে ছবিমেলা ২০২১ এর ভার্চুয়াল প্রদর্শনীর লিংক : https://www.facebook.com/chobimelafestival
দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেড এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ২০০০ সাল থেকে দুই বছর পর পর আয়োজন করে আসছে আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ‘ছবিমেলা’।
আয়োজকরা জানান, ছবিমেলার বিশেষ এ সংস্করণে বিভিন্ন ধরনের নিরীক্ষাধর্মী কাজ খুঁজে পাবেন দর্শক ও শিল্পপ্রেমীরা। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ ৭৫ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। রয়েছে আটটি কিউরেটেড প্রজেক্ট।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, প্রতিবার এ উত্সবে বিশ্বের নানা প্রান্তের আলোকচিত্রীসহ নানা মাধ্যমের শিল্পী, লেখক-চিন্তক, বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করেন। কোভিড বাস্তবতায় এ বছর শুধু বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের শিল্পীর কাজ নিয়ে উত্সবটির আয়োজন করা হয়েছে। কিউরেটেড প্রজেক্টগুলো হল- (অফ) লিমিটস, দ্য রেবেল উইথ আ স্মাইল, উইশিং ট্রি, ফ্রোজেন সং, ক্রসরোডস কালেকটিভস ইন্টারভেনশন, বাবা বেতার, ছাপাখানা আর্কাইভ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানমের ওপর ‘দা রেবেল উইথ আ স্মাইল’ শিরোনামের রেট্রোস্পেকটিভ এক্সিবিশন ও স্থপতি বশিরুল হক স্মরণে ‘উইশিং ট্রি’ আয়োজনের বিশেষ আর্কষন হিসাবে থাকছে। আরো থাকছে ছবিমেলা ফেলোশিপ ২০২১।
গত মঙ্গলবার পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উত্সবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। উৎসব পরিচালক তানজিম ওয়াহাবের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৃক, পাঠশালা ও ছবিমেলার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম, উৎসবের নির্বাহী পরিচালক এ এস এম রেজাউর রহমান, কিউরেটর সরকার প্রতীক, পাঠশালার শিক্ষক ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আক্তার, অতিথি কিউরেটর নাজমুন নাহার কেয়া।