fbpx

ফুড গ্রেড বলে কিছু নেই! প্লাস্টিক মানেই বিষ!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্লাস্টিক ছাড়া দৈননন্দিন জীবন যেন অচল। পানির বোতল থেকে তরকারির বাটি, বহু ব্যবহার নিত্য ঘটনা।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহার করার ফলে দেহে জমে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা। দিনের পর দিন খাওয়ার কারণে প্লাস্টিকের কণা জমে শরীরে বাসা বাঁধে ক্যান্সার, স্নায়ুবিক সমস্যাসহ নানা জটিল অসুখ। সেসবের কতখানি জানেন ভোক্তা সাধারণ।

এ বিষয়ে বাড্ডা, শ্যামলী, রামপুরা এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেল, সফট ড্রিংস বা পানি খাওয়ার পর বোতলটি ফেলে না দিয়ে সেটি ধুয়ে সংরক্ষণ করছেন, পরবর্তীতে আবারও ব্যবহারের জন্য। তারা বেশিরভাগই জানেন না একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি করা বোতলটি বারবার ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।

পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এসডো’র মহাসচিব ড. শাহরিয়ার বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহারের ফলে বোতল থেকে প্লাস্টিকের মাইক্রো বিডস নির্গত হতে থাকে। সেটি বোতলে থাকা পানি বা খাবারে মিশে যায়, পান করার মাধ্যমে যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এই মাইক্রো বিডসগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। মাইক্রোস্কোপ দিয়েই কেবল দেখা সম্ভব।

দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের মাইক্রো বিডস পেটে যাবার কারণে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। প্রাথমিকভাবে হজমে সমস্যাসহ দীর্ঘস্থায়ী অসুখ অর্থাৎ ক্যান্সারের মতো বিপদজনক রোগ হবার ঝুঁকি তৈরি করে বলেও জানান ড. শাহরিয়ার।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুপার শপ বা দোকানগুলোতে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক বলে যে বোতল বা দৈনন্দিন ব্যবহার্য গৃহস্থলি পণ্য বিক্রি করে থাকে, এটি সম্পূর্ণ ভুল। ফুড গ্রেড বলে কিছু নেই। পুরোটাই পণ্য বিক্রির মার্কেটিং পলিসি। কিন্তু দোকানিরা সেটি মানতে নারাজ। রাজধানীর বেশকিছু নামী ব্র্যান্ডের কাছে জানতে চাইলে, তারা ৬ থেকে ১ বছরের মেয়াদ থাকার যুক্তি দিয়ে সেটি ফুডগ্রেড বলেই দাবি করেছেন।

প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে অনেক আগেই সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার জানান, জুসের বোতল বা পানির বোতল ফেলে না দিয়ে সেটি বারবার ব্যবহারের ফলে ঘটতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ক্যান্সার, মস্তিষ্কের জটিলতাসহ ভয়াবহ রোগ হওয়ার পেছনে এখন অনেকখানি দায়ী প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান।

প্লাস্টিক পণ্য বর্জনের জন্য বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও কানে তুলছে না সাধারণ মানুষ। মাটি,সিরামিক,কাচ,কাঁসার মত স্বাস্থ্যসম্মত পন্য বাজারে থাকলেও সেগুলোতে আগ্রহ নেই। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন দৈনন্দিন জীবন প্লাস্টিকময় করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে দেশের মানুষ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply