নানা বিতর্ক শেষে অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিরলেন ডোলাল্ড ট্রাম্প। তবে ফেসবুক, টুইটার বা হোয়াটসঅ্যাপ নয়, নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প’-এ এখন তাকে পাওয়া যাবে।
ট্রাম্পভক্ত বা তার সমর্থকরা এই ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন করে তার বক্তব্য জানতে পারবেন। তবে এখন পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মে শুধু ট্রাম্পই বলবেন, সেখানে অন্য কেউ কিছু বলতে পারবেন না।
সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ মঙ্গলবার প্রথম ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প’ নামের নতুন যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সংবাদ প্রচার করে।
যেখানে বলা হয়েছে, এই প্ল্যাটফর্মে ‘লাইক’ দেওয়া যাবে। আর ট্রাম্প অনুসারীরা অন্য জায়গায় কনটেন্ট শেয়ার করতে পারবেন।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প নিজের বক্তব্য দেবেন। ভিডিও আপলোড করবেন। অন্যরা তা দেখে-শুনে লাইক-শেয়ার করবেন। এ প্ল্যাটফর্মে মুক্ত কথায় বিশ্বাস করে বলেও জানানো হয়েছে।
এই প্ল্যাটফর্মে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা হবে, যে নির্বাচনে প্রতিটি বৈধ ভোট গণনা করা হবে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রশাসন আমেরিকার লোকজনের জন্য আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করেছে। এ প্ল্যাটফর্ম তাঁর অর্জনগুলোকে সমুন্নত রাখবে। সমর্থন জানাবে সাহসী রক্ষণশীলদের, যারা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে সামনে এগিয়ে নেবে। তারাই আমেরিকার ভবিষ্যৎ।
এই প্ল্যাটফর্মটি ক্যাম্পেইন নিউক্লিয়াস নামের একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চালু হয়েছে। যার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন ট্রাম্পের সাবেক প্রচার ব্যবস্থাপক ব্র্যাড পারস্কেল। এর মাধ্যমে ট্রাম্প এখন থেকে তাঁর অনুসারী লোকজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ায় ট্রাম্পের অনুসারীরা উজ্জীবিত হবেন।
এর আগে গেল মার্চে ট্রাম্প খুব শিগগিরই নিজের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা জেসন মিলার।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে আমরা প্রায় দুই বা তিন মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্ল্যাটফর্মে ফিরতে দেখবো।’
এই প্ল্যাটফর্মটি সোশ্যাল মিডিয়ায় হটেস্ট টিকিট হবে এবং গেমটিকে পুরোপুরি বদলে দেবে বলেও জানান মিলার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস ক্যাপিটালে এক সহিংসতার জের ধরে টুইটার এবং ফেসবুক থেকে ট্রাম্পকে সাময়িকভাবে ব্যান করা হয়। পরে টুইটার থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টটি সহিংসতা আর উস্কানি ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়।