বর্তমানে বাজারে পাওয়া মাছ, মাংস বা ফলে ফরমালিন নেই, তাই নিশ্চিন্তে সন্তানদের ফল খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন সৎ সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মাহবুব কবীর মিলন।
২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিন বছর নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন তিনি খাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। একইসঙ্গে খাদ্যে ভেজাল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেন। মঙ্গলবার ক্যানভাস নামক গ্রুপে একটি পরামর্শমূলক লেখা পোস্ট করেন মাহবুব কবীর।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফলমূল এবং মাছ মাংসে ফরমালিনের অপব্যবহার সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। ২০১৫ সালের পর হতে কোনোকিছুতেই ফরমালিন পাওয়া যায়নি। যাবেও না কোনোদিন।
আপেল পঁচে না ফরমালিনের কারণে, এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা বাজারে প্রচলিত আছে। আপেলের পচন রোধে খাবার মোমের কোটিং (ওয়াক্স) দেয়া থাকে, যা ক্ষতিকর নয় এবং ধুয়ে ফেললেই চলে যায়। এই ওয়াক্স কোটিং এর জন্য আপেল দীর্ঘদিন পচে না।
সরকারিভাবেই ঘোষণা করা হয়েছে অনেকদিন আগে, আমরা সম্পূর্ণভাবে ফরমালিন ফ্রি। খোলা বাজারে ফরমালিন বিক্রি, বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া ফলমূল এবং শাকসবজিতে ফরমালিন কোন ক্রিয়া করে না। দিলেও কোনো কাজ করবে না।
তাই অহেতুক ফরমালিন ভীতি দূর করে বাচ্চাদের নিশ্চিন্তে ফলমূল খাওয়ান। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ফরমালিন এখন ইতিহাস।
অন্য সমস্যা থাকতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু ফরমালিন নেই এটা নিশ্চিত।
আমাদের মাথায় এই শব্দটি এমনভাবে সেট হয়ে গেছে যে, ভেজাল মানেই ফরমালিন। অথচ ভেজালের কতরূপ আছে তা কল্পনাও বাইরে সবার। আশা করি ফরমালিন শব্দ অন্তত কিছু মায়ের মাথা থেকে চলে যাবে চিরতরে।’
লেখার শেষ অংশে দেশের বাজারে ফরমালিন আছে, তা প্রমানে ল্যাব রিপোর্ট প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়েঁ দেন মাহবুব কবীর মিলন।