খোলা রয়েছে ব্যাংক, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। গ্রাহক ও কর্মকর্তা দু’জনই এতে হচ্ছেন আক্রান্ত। ব্যাংকারদের আক্রান্ত-মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গতবছর করোনা মহামারির পর থেকে এ বছর মে মাস পর্যন্ত মোট ১৩৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। এই হার জুন মাস থেকে আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, আক্রান্তের হার হিসাবে ১৪ শতাংশ অর্থাৎ ২৫ হাজার ৩৯৯ জন ব্যাংকার গত বছর থেকে এ বছরের মে মাস পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। তবে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যাংকারদের পরিবারকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। আর কোনো কর্মচারীর মৃত্যু হলে দেওয়া হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। পাশাপাশি, ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার থেকে অফিসারের নিচের পদমর্যাদার কর্মকর্তার পরিবার।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে লকডাউনে ব্যাংকারদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে বেসরকারি বেশির ভাগ ব্যাংকই সে নির্দেশনা মানছে না।
দেখা গেছে, গ্রাহক ভিড় যেসব ব্যাংকে যত বেশি, আক্রান্তের সংখ্যাও সেখানে তত বেশি। আর করোনা প্রতিরোধে যেসব ব্যাংক বেশি ব্যবস্থা নিয়েছে, ওসব ব্যাংকের কর্মকর্তারাও নিজেদের বেশি সুরক্ষিত রাখতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫৭৬ জন ব্যাংকার শুধুমাত্র গত মে মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আর করোনায় মৃত মোট ১৩৩ জন ব্যাংকারের মধ্যে ৭৩ জনই সরকারি ব্যাংকের।
ব্যাংকারদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় সিটি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ৪০ বছর বয়সী মুজতবা শাহরিয়ারের। মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২৬ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।