মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঢাকায় নির্মিত ফ্ল্যাট এবং বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে নির্মিত স্বল্প ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট আজ উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করে এই ফ্ল্যাট উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কয়েকজন বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
এরমধ্যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আজিমপুর সরকারি কলোনি, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন, মালিবাগ ও মতিঝিলে ২ হাজার ৪শ’ ৭৪টি ফ্ল্যাট-সংবলিত ৫টি আবাসন প্রকল্প এবং বস্তিবাসীর জন্য মিরপুরে নির্মিত ৩০০টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া, এ অনুষ্ঠানে মাদারীপুরে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মিত সমন্বিত অফিস ভবনও উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
দেশের সব গৃহহীনকে অন্তত একটি ঘর প্রদান করা হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি জানি, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে দেশ স্বাধীন হওয়ার ১০ বছরের মধ্যেই দেশের মানুষ উন্নত জীবন পেত। প্রত্যেকটি গ্রাম ও ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উন্নত হতো। সে কাজটাই আমরা এখন করে যাচ্ছি।’
সকলের জন্য সুষ্ঠু আবাসন নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সব সেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধানে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এক ছাদের নিচে সব সরকারি সেবা পাবেন মানুষ। সব জেলা ও উপজেলায় কমপ্লেক্স করে দেব। অফিসারদের থাকার জন্যও ফ্ল্যাট করে দেব’।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের সকল গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের অঙ্গীকার পূণর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকের একটা ঠিকানা হবে এবং যারা বস্তিতে বসবাস করছেন, তাদের জন্যও একটি সুষ্ঠু আবাসন ব্যবস্থা আমরা করে দেব’।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত (মুজিব বর্ষের গৃহসহ) ৪ লাখ ৪২ হাজার ৬শ’ ৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল-অসহায় পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে। আর ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ পরিবারকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে।