ধনু নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকিতে পড়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া গ্রাম।
একটি প্রভাবশালী চক্র গ্রামবাসীর নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও বহুদিন ধরে সুতারপাড়ার সামনে দিয়ে বহমান ধনু নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। এর প্রতিবাদ ও তা বন্ধে মানববন্ধন করেছে ও প্রশাসনের কাছে স্বারক লিপি দিয়েছে গ্রামবাসী। শুক্রবার সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ধনু নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায দুই কিলোমিটার বড় এই গ্রামে বসবাস করে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। যাদের আয়ের একমাত্র উৎস একফসলী ধানী জমি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ইতোমধ্যে নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে কয়েকশো একর কৃষি জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। নি:স্ব হয়ে গেছে অনেক পরিবার। তাই অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে কয়েক বছরের মধ্যে সুতারপাড়া গ্রামও নদীর ভাঙ্গনে পড়ার আশংকা করছে গ্রামবাসী। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তারা। মানববন্ধনে গ্রামবাসীর সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সুতারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মানবন্ধনে এলাকার স্থানীয় কৃষক ও পল্লী পশু চিকিৎসক আব্দুস সালাম বলেন, ‘ড্রেজারে বালু উত্তোলন বিশেষ ক্ষতি, যে ক্ষতি বলা বাহুল্য। একর একর জমি যাইতাছে আর কয়দিন পরে বাড়িও যাইবো।’
সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিশেষ কিছু বলতে চাইনা। কথা একটাই নদী ভাঙ্গন রোধে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নইলে সবাই ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাবো।’
মানব বন্ধনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন জাহেদ আলী। তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারণে ইতোমধ্যে তিনি কয়েক বিঘা জমি হারিয়েছেন। এজন্য পরিবার নিয়ে ঢাকায় বহুদিন কাজ করতে হয়েছে তাকে।