শেয়ার ব্যবসার জন্য তৃতীয় ধাপে আরও নয়টি ব্রোকারহাউজকে অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এখন থেকে এই নয় প্রতিষ্ঠান শেয়ার ব্যবসায় লেনদেন করার জন্য ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেটের (ট্রেক) এর অনুমোদন পেলো।
বৃহস্পতিবার বিএসইসি এ সংক্রান্ত চিঠিটি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঠিয়েছে।
এই ট্রেকগুলো হলো- অ্যাসুরেন্ট সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, মেট্রিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিএএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবসিডিয়ারি এসবিআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, উইংস ফিন লিমিটেড, ফারইস্ট শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটি লিমিটেড, ইনোভা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং ডিপি সেভেন লিমিটেড।
এ নিয়ে গত তিন মাসে মোট ৫৫ ব্রোকারহাউজকে শেয়ার ব্যবসার জন্য ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার আইন অনুসারে, একটি ট্রেকের জন্য নিবন্ধন ফি এক কোটি টাকা। এই ট্রেক পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক লাখ টাকা ফিসহ এক্সচেঞ্জে আবেদন করতে হয়। ট্রেক নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ কোটি টাকা জামানত দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে বিদেশিদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা এবং শুধুমাত্র বিদেশিদের ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে।
আর জামানতের ক্ষেত্রে বিদেশিদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার জন্য ৪ কোটি টাকা এবং শুধুমাত্র বিদেশিদের জন্য ৫ কোটি টাকা জমা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আর ট্রেকের বার্ষিক ফি ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়াতে চলতি বছরের ১৯ মে প্রথম দফায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেকের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। দ্বিতীয় দফায় আরও ১৬টি ট্রেকের অনুমোদন দেওয়ার জন্য গত ২১ জুন ডিএসইকে চিঠি দেয় বিএসইসি।
বিএসইসি জানিয়েছে, বর্তমানে ট্রেক পেতে যেসব আবেদন জমা রয়েছে, এর মধ্যে ৪টি কোম্পানিকে তাদের সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি সংঘস্মারক পরিবর্তন না করতে পারে, তাহলে তাদের আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।