‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও জ্বালানির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এডিবির সহায়তা চান তিনি।
সোমবার (৯ মে) সকালে গণভবনে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শিঝিন চেন এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ সহায়তা প্রত্যাশা করেন। জবাবে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শিঝিন চেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে আমাদের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং এডিবি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ দেশের গ্রামীণ ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এডিবি আশা করছে, বাংলাদেশ জিডিপিতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে (উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক হওয়ার কারণে) যা সাধারণত একটু জটিল। কিন্তু বাংলাদেশ ভালো করছে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হতে পারে, এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের এমন আশঙ্কার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দরজা খুলে দিয়েছে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর যেসব রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ অন্যতম সেরা উদাহরণ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ কৃষি খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
শিঝিন চেন আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে যেসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হচ্ছে, তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণ করবে। তিনি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এডিবি’র আগ্রহের কথা জানান।
তথ্যসূত্র: বাসস