সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে ছিনতাইকারীরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে জালালাবাদ থানা পুলিশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জালালাবাদ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটি একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বুলবুল ও তার সঙ্গে থাকা একজন ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শহীদ মিনারের পাশে গাজী-কালু টিলার পাশে নিউজিল্যান্ড নামক এলাকায় বেড়াতে যান। ওখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল রাজমিস্ত্রি কামরুল ও তার সাথে আরও তিনজন। বুলবুল ও তার সাথে থাকা শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে তাদের কাছে টাকা ও মোবাইল ফোন দাবি করেন তারা।‘
উপকমিশনার আজবাহার আলী আরও বলেন, ‘টাকা পয়সা ও মোবাইল দাবি করলে ছিনতাইকারীদের সাথে বুলবুলের ধস্তাধস্তি হয়। তারা বুলবুলের মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেবার পর বুলবুলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে নিয়ন্ত্রণে আনতে চান। পরে বুলবুলের শরীর থেকে অনবরত রক্ত বেরোতে দেখে ভড়কে যান ছিনতাইকারীরা। তারা বুলবুলের কাছে থাকা মানিব্যাগ ও সাথের শিক্ষার্থীর মোবাইল না নিয়েই পালিয়ে যায়।‘
এটা পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নয় জানিয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আমরা পাইনি। তাই তাঁদের এই মুহূর্তে পেশাদার ছিনতাইকারী বলতে পারছি না। তবে তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে এগোতে পারব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের ওই টিলা এলাকায় আগেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের ভেতরে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয় লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বুলবুল আহমদের।
এ হত্যাকাণ্ডে সোমবার রাতেই জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করেছে।
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় কামরুল ইসলাম (২৯), আবুল হোসেন (১৯) ও মোহাম্মদ হাসানকে (১৯)। তারা তিনজনই শাবিপ্রবি’র পাশের টিলারগাঁও এলাকায় বাসিন্দা এবং তিনজনই পেশায় রাজমিস্ত্রি।
কামরুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে তার বাসা থেকে বুলবুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জালালাবাদ থানা পুলিশ।