প্রতিদিন কোন না কোন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বেড়েই চলছে। কোনভাবেই দ্রব্য মূল্যের এই উর্ধ্বগতি থামানো যাচ্ছে না।
ঢাকার বাজারে দশ দিনের ব্যবধানে খোলা চিনির দাম বাড়লো কেজি প্রতি ১৫ টাকা। ঈদুল ফিতরের পর দাম বেড়ে বাজারে এখন প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। ঈদের আগে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ছিল ১২৫ টাকা।
খোলা চিনি কিছুটা পাওয়া গেলেও বাজারে একদমই মিলছেনা প্যাকেটজাত চিনি। যেন হঠাৎ করেই প্যাকেটজাত চিনির সকল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবে চিনির বাজার নিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও মিলমালিকগণ বিপরীত মুখী বক্তব্য দিয়েছেন।
খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে চিনি সরবারহ সংকট বলেই চিনির দামের এই অস্থির অবস্থা। কিন্তু মিল মালিকরা বলছেন একেবারেই ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, দেশে চিনির কোন সংকট নেই, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অনেক বেশি। এ অবস্থায় চিনিকল মালিকেরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এক চিঠির মাধ্যমে তাদের উদ্বেগ এর কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এ্যাসোসিয়েশন তাদের চিঠিতে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনি আমদানি নিয়ে তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। গত মাসে সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম বেধে দিয়েছিল ১০৪ টাকা।