একটা সময় ছিল বাংলা সিনেমার গান মানেই এন্ড্রু কিশোর। মানুষের মুখে মুখে আজো ঘুরে ফিরে সেই সব জনপ্রিয় গান। বলা হয়ে থাকে তার মতো এমন ভরাট কণ্ঠের গায়ক বাংলা গানে রেয়ার। তাই তো তাকে বলা হয় প্লেব্যাক সম্রাট।
১৯৭৭ থেকে তার কণ্ঠের ময়াবি জাদুতে মাতিয়ে রেখেছেন বাঙালি শ্রোতাদের। গত বছরের এই দিনে, মানে ৬ জুলাই অগণিত ভক্তকুলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই শিল্পী।
মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করে স্মৃতিচারণা করেছেন এই কণ্ঠশিল্পীর দীর্ঘদিনের বন্ধু হানিফ সংকেত।
স্মৃতিচারণা করে বাংলাদেশের নন্দিত এই উপস্থাপক বলেন, ‘দেখতে দেখতে একটি বছর হয়ে গেলো কিশোর নেই। বিশ্বাস করতে মন চায় না, অথচ এটাই সত্যি। এন্ড্রু কিশোর-বাংলা গানের ঐশ্বর্য। যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতি ছিলো বেশি। যার কাছে গানই ছিলো জীবন-মরণ, গানই ছিলো প্রাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারতো। সবসময় নিজের সুবিধার চাইতে অন্যের সুবিধার দিকেই দৃষ্টি ছিলো তাঁর বেশি। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। কিশোর নেই মনে হলেই ভেতরটা হাহাকার করে উঠে। এন্ড্রু কিশোর ছিলো একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই।’
‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’ এমন অসংখ্য গানের এই গায়কের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর। বাংলাদেশের বাইরেও কয়েকটি দেশের চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই শিল্পী।